স্বদেশ ডেস্ক: শিশু হত্যা, ধর্ষণ ও শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছেই। গত বছরে যেখানে ৫৭১ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, সেখানে চলতি বছরের ৬ মাসেই ৪৯৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণ বৃদ্ধির হার শতকরা ৪১ শতাংশ। বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ্যাকশন ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) ও বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএসডির ডিসিএইচআর প্রজেক্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউকেএম ফারহানা সুলতানা। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, শিশু নির্যাতনের পর অপরাধী আইনের আওতায় না আসা নির্যাতন বৃদ্ধির মূল কারণ। ফলে একের পর এক শিশু ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। এ ক্ষেত্রে আইন থাকলেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে। মামলা হলেও যে চার্জশিট দেয়া হয় তাতে নানা ফাঁকফোকর থাকে। এতে আরও বলা হয়, আইনের ধীরগতির কারণে বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়। এ সুযোগে অপরাধীরা জামিনে বেরিয়ে যায়। আর আসামিরা প্রভাবশালী হলে বিচার প্রক্রিয়ায় আরও সংকট দেখা দেয়। কখনও প্রভাবশালীদের চাপে নির্যাতিতারা সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়। মূল প্রবন্ধে ফারহানা সুলতানা আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও শিশুর অভিভাবকরা সম্মান হারানোর ভয়ে এবং প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে মামলা করে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভিভাবকের পক্ষে দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে সমাজে শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তৃতা করেন-এএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী ও বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ প্রমুখ।